ইউরোপ ভিত্তিক বাংলাদেশ কেন্দ্রিক ষড়যন্ত্রের মূল তিন হোতার মধ্যে জুলকারনাইন সামি অন্যতম। অপর দু’জন হচ্ছে দেশ পলাতক সাংবাদিক তাসনিম খলিল এবং ড. কামাল হোসেনের মেয়ের জামাই রাজাকার পক্ষের ইহুদি লবির সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যান। যিনি বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অযাচিত কথা বলে দেশের রাজনীতিতে নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছিলেন।
তাসনিম খলিলের ভণ্ডামি ও ইহুদি সাংবাদিক ডেভিড
বার্গম্যানের কুকীর্তি সম্পর্কে সকলের ধারনা থাকলেও জুলকারনাইন সামি সম্পর্কে অনেকেরই জানার আগ্রহ রয়েছে। তাই আজ আপনাদের এক ভয়ঙ্কর অপরাধী জুলকারনাইন সের খান থেকে কুখ্যাত কিলার সামি হয়ে ওঠার গল্প শোনাবো।
কিলার সামি কিশোর বয়স থেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। জানা যায়, বাবা-মার অবাধ্য এই সন্তান নিজের স্বার্থের জন্য বাবার গায়ে হাত তুলতেন। নেশার টাকা জোগাতে মায়ের গয়না চুরি করতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি তিনি। নেশার জন্য ছিঁচকে চুরি ও ডাকাতির পথে পা বাড়ালে তার বাবা চিন্তিত হয়ে লোক সমাজের ভয়ে তাকে হাঙ্গেরি পাঠিয়ে দেন। এরপর সেখানে গিয়ে শুরু হয় উক্ত অঞ্চলের মাফিয়াদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ার খেলা। সে সময় ডেভিড বার্গম্যানের বন্ধু হামজা খালিদ সামিকে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার পেইড এজেন্ট হিসেবে কাজ করার জন্য ১ মিলিয়ন ডলারের অফার দিলে তিনি রাজি হয়ে যান। শর্ত থাকে, ক্যামেরার সামনে মিথ্যাচার করতে হবে।
যার ফলশ্রুতিতে সামি ক্যামেরার সামনে এসে আল জাজিরার ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ শিরোনামের প্রতিবেদনটিতে একের পর এক বানোয়াট গল্প পরিবেশন করতে থাকে।
সামির বিষয়ে এই প্রতিবেদন তৈরিতে আমাদের সহায়তা করেছেন তার ছোট বেলার বন্ধু ইশতিয়াক হোসাইন। তিনি আরো বলেন, সামি এক্স ক্যাডেট। বিষয়গুলো শুনতে খারাপ শোনা গেলেও সত্য যে, ক্লাস এইটে তাকে ক্যাডেট থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল ডিসিপ্লিন ভঙ্গের কারণে। পরে আমাদের সাথে কুমিল্লার ইস্পাহানী পাবলিক স্কুলে ভর্তি হয়। বাবা ছিল আর্মির ডাক্তার, মা গৃহিণী। মূলত নেশার কারণেই তার এতো অধঃপতন। লজ্জায় আঙ্কেল তাকে হাঙ্গেরি পাঠিয়ে দিলে সেখান গিয়ে সে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। যেহেতু তার টাকার প্রতি লোভ ছিলো, তাই সে আলজাজিরায় ফেইক ফরমা হিসেবে কাজ শুরু করে। বর্তমানে তাই করে যাচ্ছেন। যদিও একটি কথারও প্রমাণ দিতে পারবে না।
জেনে রাখা প্রয়োজন, বাংলাদেশ বিরোধী সংবাদ প্রচারের জন্য আল-জাজিরা World Wide Jamaat-e-Islami সংগঠন থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার উপঢৌকন পেয়েছিলেন। কাতার সরকারও এজেণ্ডা বাস্তবায়নের কল্প স্বরূপ World Wide Jamaat-e-Islami-কে সমর্থন করে।
0 Comments